খালেদাকে উপদেশ দিল আসল বিএনপি
নিজস্ব প্রতিবেদক
আসল বিএনপির মুখপাত্র দাবিদার কামরুল হাসান নাসিম বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিনে বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘পারিবারিক সফর হবে এবার ‘মা’ খালেদার লজ্জা হতে উত্তরণের একমাত্র উপায়।’
নাসিম আরো বলেন, ‘দলের পক্ষ থেকে আমি অনেক আগেই বলেছি- পূর্বসূরীদের ছাপিয়ে যেয়ে উত্তরসূরীদের উন্নত রাজনীতি উপহার দেয়ার দৃষ্টান্ত বিশ্ব রাজনীতিতে রয়েছে। কিন্তু আমাদের ‘মা’ বেগম খালেদা জিয়া ও তার পুত্র তারেক রহমানের সেই রকম সুযোগ থাকার পরেও তাদের পরিচয় এখনো শহীদ জিয়ার ইমেজেই আবর্তিত। ।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘১৫ আগস্ট, এই দেশের রাজনীতির প্রবাদ পুরুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রয়াণ হওয়ার তারিখ এবং অবশ্যই জাতীয় শোক দিবস। যদিও বঙ্গবন্ধুকে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ এখনো পর্যন্ত ‘সর্বজনীন জাতির পিতা’ প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এর দায় বিএনপি বা বিরোধী শিবির কে দিয়ে লাভ নেই। এর ব্যর্থতা তাদেরই নিতে হবে। কারণ, ভাল শিক্ষায় শিক্ষিত করা গেলে বা নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক প্রতিহিংসা পরায়ণতার নজির থাকাতেই আমাদের ‘মা’ বেগম খালেদা জিয়া এই দিন কথিত জন্মদিন আড়ম্বর আয়োজনে পালন করে থাকেন। যা রাজনীতির জন্য সুখকর নয়- এক কথায় নিম্নমানের রুচি, খুব সাধারণ ভাষায় বললে-উচ্চ মার্গের শিষ্টাচার বর্জিত আয়োজন। মনে রাখা দরকার, ‘মা’ খালেদা জিয়া যদি ১৫ আগস্ট গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যেয়ে এইদিন বঙ্গবন্ধুর কবর জিয়ারত করার উদারতা দেখাতে পারেন- তাতে করেই তিনি অতি মানবিক চরিত্রের অধিকারিণী হতে পারেন। একই কথা আমাদের ভাই তারেক রহমানের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। লন্ডন হতে পঁচা পঁচা কথা না বলে- ‘মুজিব মুজিব’ না করে বঙ্গবন্ধুকে ‘দাদু’ বা আজকের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘খালা’ বলে সম্বোধন করে রাজনীতি করলে কেহ ছোট হয়ে যায় না।’
তিনি আরো বলেন, ‘আলোচনায় রয়েছে এবারেও সেই ১৫ আগস্ট। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম ইতোমধ্যে আনুষ্ঠানিক ভাবে না হলেও বড় আয়োজনেই তিনি ‘মা’ খালেদা জিয়ার প্রতি অনুরোধ রেখেছেন- যাতে করে এই জন্মদিন যেন ১৬ অথবা ১৭ আগস্ট পালন করা হয়। দলের পক্ষ থেকে বরাবরের মত সাহস রেখেই আমি বলবো, আপনি (বেগম খালেদা জিয়া) রাজনীতি হতে আপাত অবসর নিয়ে এখন পরিবারকে সময় দেন। দলের প্রাণ শহীদ জিয়াউর রহমানের আত্মীয় স্বজন, আপনার সন্তান, পুত্রবধূ, নাতি– নাত্নিদের সময় দিতে ১৫ আগস্টের আগেই বের হয়ে পড়েন দেশ ও বিদেশে। এই যাত্রায় এই বছর এভাবেই সামাল দেন। পরের বছর আমরাই বলে দিব কী করতে হবে- প্রয়োজনে সাবেক দলীয় প্রধান হিসাবে আপনি আগামীবার টুঙ্গিপাড়ায় যাবেন। কালো ব্যাচ পড়ে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে স্মরণ সভা করলেও বিএনপির ইমেজ ঘাটতি হবে না, বরং বাড়বে। দলের পক্ষ থেকে বলছি- আপনি রাজনীতি হতে আপাত বিদায় নিয়ে আমাদের পাশেই থাকেন। যেভাবে এগুচ্ছে- দলের মধ্যকার লুকিয়ে থাকা মীর জাফরেরা অস্তিত্ব সঙ্কটে ফেলতে চায় বিএনপিকে। বিএনপি আরো শক্তিশালী হবে এবং সেরার সেরা রাজনৈতিক দল হিসাবেই আবির্ভূত হবে- যদি আপনি ও আপনার পুত্র দলের নীতি নির্ধারণ হতে আপোসে সরে দাঁড়ান, ব্যতিক্রম হলেই দল গোছানোর দৃষ্টান্ত আপনারা দুজন খুব ভাল করেই দেখতে পারবেন।’
প্রতিক্ষণ/এডি/তাফসির